Friday 29 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশ হেফাজতে দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০৩

সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি গ্রেফতারের পরপরই অসুস্থবোধ করতে থাকেন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মৃত সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (৬৪) দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক। তার বাসা নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘মারধর, হুমকিধমকির অভিযোগে আদালতে দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করেছিল চান্দগাঁও থানা পুলিশ। রাত ১১টার দিকে ওনাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। যেহেতু, উনি একজন সম্মানি মানুষ, ওনাকে থানায় নিয়ে ওসির রুমে বসানো হয়। ওনার ছোট ভাইও সঙ্গে ওসির রুমে আসেন।’

‘ওসির রুমে বসানোর ১০ মিনিট পর উনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। উনি হার্টের পেশেন্ট, বাইপাস সার্জারি হয়েছিল, রিং পরানো ছিল। বাসা থেকে ইনহেলার, স্প্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছোট ভাই নিজেই ওনাকে মুখে ইনহেলার স্প্রে করেন। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে।’

এরপর ছোট ভাইয়ের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ শহীদুল্লাহকে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান উপ পুলিশ কমিশনার মোখলেসুর রহমান।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের অবহেলা আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘শহীদুল্লাহ সাহেবের জায়গা-জমি নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। উনি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছিলেন। আমরা সেটা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছি। এরপর আদালতে দণ্ডিবিধির ৩২৩, ৫০৬ ধারায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় ওনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আসে। সেটা কারা করেছে আমরা জানি না।’

বিজ্ঞাপন

‘আমরা শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশে ওনাকে গ্রেফতার করে থানায় এনেছিলাম। আজ (বুধবার) ওনাকে আদালতে হাজির করা হতো। কিন্তু গ্রেফতারের পরপরই উনি অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘থানায় ওনার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। যা হয়েছে, ওনাদের সামনেই হয়েছে। এরপরও পরিবারের সদস্যরা কিছু অভিযোগ করেছেন, সেটা মারা যাওয়ার প্রেক্ষিতে ওনাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বলে আমরা মনে করি।’

মৃতের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

চট্টগ্রাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর