Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটের সময় পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার নয়: সিইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৭

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের তালিকা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেওয়ার পর যদি তাদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে বুঝব সেটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

এসময় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করব এটি (গ্রেফতার) হবে না। আমরা বারবার সরকারকে এটা জানাব, যদি তাদের গ্রেফতার করতে হয় ছয় মাস আগেই করেন। আর যদি করতে হয় তো নির্বাচনের পরে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত হবে না।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনেরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।

পোলিং এজেন্ট প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনারা প্রায়ই বলেন এজেন্টদের নামতে দেবে না, কারণ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ফেলবে। তাদেরকে শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ মারধর করতে পারে, নানা কারণ থাকতে পারে। এই বক্তব্য শুনেছি যে সাধারণত ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত পোলিং এজেন্টদের নামটা খুবই গোপন রাখা হয়। যাতে তারা নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেন। এটা আমাদের মাথায় আছে।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখি ১০০ জনের জায়গায় ১৫০ জন পোলিং এজেন্টের নাম দেয়। পরে যদি আমরা দেখি ভোটের আগে ১৫০ জন গ্রেফতার হয়ে গেছেন। তখন আমাদের একটা নেগেটিভ ইমপ্রেশন নিতে হবে কেন তারা এক মাস আগে গ্রেফতার হলেন না, কেন তারা দুই মাস আগে গ্রেফতার হলেন না। ভোটের আগের দিন সবাই উধাও হয়ে গেল কেন?

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, আমরা সৎভাবে ভোট করতে চাচ্ছি। কোনো দলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। সেজন্য একটা হতে একটা তালিকা যদি আগে দেওয়া হয়, এর পরে থেকে যদি পটাপট গ্রেফতার হতে থাকে। দেখা গেল ১০ জন বাকি আছে ১৪০ জনই গ্রেফতার হয়ে গেলো। এতে একটা বুঝা যায় যে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশেষ একটা উদ্দেশ্যে। তবে আমরা আশা করব এইক্ষেত্রে কখনোই হবে না।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে এটা জানাব যদি তাদেরকে গ্রেফতার করতে হয় ছয় মাস আগেই গ্রেফতার করেন। আর যদি না করেন তবে নির্বাচনের পরে গ্রেফতার করে ফেলেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক হবে না। এতে আমরা কলঙ্কিত হবো বলে মনে করি। পোলিং এজেন্ট না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। একজন শক্তিশালী প্রার্থী দুর্বল পোলিং এজেন্টদের বের করে দেন।

সিইসি বলেন, আমাদের দায়িত্ব কিন্তু অনেক কমে যাবে যদি নির্বাচনগুলো প্রতিযোগিতামূলক হয়। কেউ শব্দটা ব্যবহার করছেন পারটিসিপেটরি, কেউ ব্যবহার করছেন ইনক্লুসিভ। পারটিসিপেটরি ও ইনক্লুসিভের অর্থ কী- এটি নিয়ে আমি কনফিউশনে পড়েছি। অংশগ্রহণমূলক বলতে আমি যেটা বুঝেছি- ব্যাপক ভোটার যদি এসে ভোটদান করে, কে এলো কে এলো না। আমার সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমার জেনুইন টার্নআউট হয়েছে ৭০ শতাংশ। তারপরে যদি কনটেস্টেটেড হয়, তাহলে কনটেস্টের ক্ষেত্রে আমাদের অল্প কিছু রেফারির ভূমিকা থাকবে। কনটেস্টটা হবে পার্টিগুলোর মধ্যে। ওরাই ওদের অবস্থান সুদৃঢ় রাখবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি, ইফেকটিভ কনটেস্ট হলে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়ে যায়। আমাদের দায়িত্বটা সেই ক্ষেত্রে অনেকটা কমে আসে।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

নির্বাচন পোলিং এজেন্ট সিইসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর