Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দিল্লি কি বলে দিয়েছে নির্বাচনের দরকার নেই— প্রশ্ন ফখরুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৭

ঢাকা: ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে’— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দিল্লি আছে, আমরাও আছি, আমরা আছি দিল্লিও আছে? কী বুঝাতে চাইছেন? দিল্লি কি আপনাদের জানিয়েছে যে, এভাবে অপকর্ম করতে থাকো? দিল্লি কি বলে দিয়েছে, দরকার নাই নির্বাচনের? দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করেই নির্বাচন ঘোষণা করে দাও? পরিষ্কার করে বলেন।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস নেই, কোনো শর্ত মেনে বিএনপির চেয়ারপারসন বিদেশ যাবেন না। তিনি এই বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন। দেশনেত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের বাতিঘর। তিনি নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন, আপস করেননি। আজকে তিনি মৃত্যুশয্যায়। তিনি লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে।’

বুধবার (৪ অক্টোবর) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত এক পেশাজীবী কনভেনশনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রং হেডেড পারসন অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের যেমন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষও বলে দিয়েছে তোমাদের আমরা আর বিশ্বাস করি না। যেসব দেশ সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দেখতে চায়, তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি, ২০১৮ সালেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এবারও তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেখানে আইনমন্ত্রী বলেছেন, আমি নাকি ভুল বলেছি, মিথ্যাচার করেছি। সরকারের ক্ষমতা আছে শাস্তি মওকুফ করে দেওয়ার, মাফ করে দেওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আছে সাময়িকভাবে স্থগিত করার, তার ক্ষমতা আছে দণ্ড মাফ করে দিয়ে তাকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার। অথচ বেমালুম বলে যাচ্ছে কোনো সুযোগ নাই, তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে।’

‘আসলে আপনাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আপনারা হত্যা করতে চান। সেজন্য আজ এই ধরনের কথা বলছেন’— বলেন মির্জা ফখরুল।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, কামরুল ইসলাম সজল, আব্দুস সালাম ও শামীমুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় কনভেনশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদসচিব আবদুল হালিম, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল কাইয়ুম, ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক গাজী আবদুল হক, এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক হারুন আল রশীদ, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ইউনির্ভাসিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল, কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়শনের রাশেদুল হাসান হারুন, সাংবাদিক ইউনিয়নের রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, শহীদুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন প্রমুখ।

রাজনীতিবিদদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. সদস্য আবদুল মঈন খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ দিল্লি নির্বাচন মির্জা ফখরুল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর