Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. ইউনূসকে হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়: দুদক সচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:১৫

মো. মাহবুব হোসেন, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘দুদক তার আইন অনুযায়ী কাজ করে। ব্যক্তির পরিচয় দেখার সুযোগ নেই। সুতরাং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। অভিযোগের প্রাথমিক সততা পাওয়া মামলা হয়েছে। এখানে হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়। মামলার আসামিকে কখন কিভাবে গ্রেফতার হয় সেটার আইনি ব্যাখ্যা আছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা তা জানেন।’

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুদক কার্যালয়ের সামনে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করা হচ্ছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব এসব কথা বলেন।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে ২০১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরের নীট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনের অনিয়মের বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব প্যাডে একটি অভিযোগ দাখিল করে। এ অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গেছে বলে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। প্রতিবেদনসহ কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় তা স্মারক ২০২২ সালের ১৪ জুলাই মূল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীরা কর্তৃক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিধায় দুদক কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগসমূহ অনুসন্ধান করার জন্য দুদক একটি অনুসন্ধানটিম গঠন করা হয়। অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুদক মামলা রুজুর সুপারিশ করে একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপিত হলে মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষে দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় মামলাটি রুজু করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বোর্ডের সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ভুয়া সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টকে আসল হিসেবে ব্যবহার করে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্নসাৎ করায় ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। গতকাল ও আজকে ৭ জনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও বক্তব্য রেকর্ড করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে ঢোকেন ড. ইউনূস। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাড়ে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুদক থেকে নোটিশ পাওয়ার পর জবাব দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন।

এর আগে, গতকাল বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

টপ নিউজ ড. ইউনূস দুদক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর