‘তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে আগ্রহী জাপান’
৭ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:২০
ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একাধিক জাপানি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিমান ও সিভিল অ্যাভিয়েশন মিলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
রোববার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও বাংলাদেশ সফররত জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগেও অবশ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে জাপানের উপমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে তার দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনাল ডিজাইনে ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে থাকবে এমন নয়, যাত্রী সেবাতে যেন বিশ্ব সেরা হতে পারে সেটির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপমন্ত্রী কোমুরা বাংলাদেশ সফর করছেন। শনিবার সকালে তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই তৃতীয় টার্মিনাল ক্রমবর্ধমান বিমান পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়ন ঘটাবে। আমি এটাও বিশ্বাস করি, এই তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে বের হতে এবং আরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে। জাপান শুধুমাত্র এই টার্মিনাল নির্মাণই নয়, এর পরিচালনাতেও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে চায়। ভবিষ্যতে এই বিমানবন্দর জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন প্রতীক হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আছেন জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো। তিনি বাংলাদেশ সফরকালে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। রোববার (৮ অক্টোবর) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এর মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। বাকি টাকা অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
সারাবাংলা/আইই/পিটিএম