টানা বৃষ্টিতে এক জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৩১৪৫ হেক্টর জমির ফসল
৮ অক্টোবর ২০২৩ ১০:২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: কয়েকদিন থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, একটু বিরতি তো আবার অনেকক্ষণ টানা ঝড়ছে বৃষ্টির এ ধারা। এমন বর্ষণমুখর প্রকৃতিকে অনেকেই তুলনা করছেন ‘আশ্বিনা ডাওরে’র সঙ্গে। টানা এই বৃষ্টিতে এক হাজার হেক্টর জমির ধান ডুবে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া আরও প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির মাসকলাই, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, পেঁয়াজের বীজতলা, নাবি পাট বীজ, তিলসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রুহুলবাঁধ এলাকায় অগ্রণী সেচ প্রকল্পের সাবেক সহ সভাপতি আলাউদ্দীন জানান, সেচ প্রকল্পের আওতায় কামারের মাঠ, ডাগরা চাঁইপাড়া, সেহালা, মহাডাঙ্গা, সাহাবির বিল, সুড়কিজলসহ বেশ কিছু এলাকার ৭০০ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। পানি কমলেও অন্তত ৬০-৭০ ভাগ ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এখন প্যাটে শীষ হয়্যা গেছে ধান গাছের, তার শীষে পানি ঢুক্যা গেলে ওই ধান নষ্ট হয়্যা যাবে। পানি নামলেও ডুব্যা যাওয়া জমির ধান খুব ভাল হবে না, ১০ আনায় নষ্ট হয়্যা যাবে।’
এসময় কথা হয়, তরিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মজিদ, আব্দুল হান্নান নামে আরও কয়েকজন কৃষককের সঙ্গে। তারা জানান, সব কিছু খরচ করে ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্ত আশ্বিনা ডাওরে সব শেষ, এখন কিছুই করার নাই।
শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় নয়, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্য উপজেলার ফসলি জমিও।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে মাঠের রোপা আমন, ছাড়াও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাসকলাই, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, পেয়াজের বীজতলা, নাবি পাট বীজ, তিলসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, বৃষ্টিতে জেলার ১৪ হাজার ৩৪২ জন কৃষকের প্রায় ৩ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমির ফলস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আগামীতে সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।
সারাবাংলা/এমও