পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল: উদ্বোধন ঘিরে চলছে নানা প্রস্তুতি
৮ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪৩
মুন্সীগঞ্জ: মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ৮২ কিলোমিটার রেলপথ আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ আয়োজন ঘিরে ব্যস্ত প্রকল্পের কর্মকর্তারা। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই দৃশ্যমান হবে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ। উদ্বোধন ঘিরে এরইমধ্যে মাওয়া স্টেশনের পাশে সমাবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো হয় এবং পরের দিন চালানো হয় মালবাহী ট্রেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ব্যবস্থাপক (ঢাকা-ভাঙ্গা) ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘিরে আইনশৃঙ্খলাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের দিকে।
অক্টোবরে পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে ৬ ট্রেন
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে যাত্রীসহ ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে। পদ্মা সেতু দিয়ে যেসব ট্রেন চলবে তার মধ্যে রয়েছে, খুলনা-ঢাকা রুটের দু’টি আন্তনগর ট্রেন, সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢুকবে।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা ৭ মিনিটে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলে ট্রেন। সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে ট্রেনটি পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ওঠে। আর সেতু অতিক্রম করে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায় ১১টা ৩৪ মিনিটে। সে হিসাবে সাত মিনিটেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ট্রেনটি।
এছাড়া, ১৫ সেপ্টেম্বরও পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করে।
গত বছরের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও পদ্মা রেল সেতুর কাজ তখনো চলছিল। এই রেললাইন উদ্বোধনের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা আছে। ওই দিন এক সুধী সমাবেশে রেললাইনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করা হলেও পুরো রেল প্রকল্প শেষ হতে অবশ্য আরও দেরি হবে। আপাতত ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলেও প্রকল্পের আওতায় রেলপথ সংযুক্ত করবে যশোর পর্যন্ত পথ। পুরোটা ২০২৪ সালে জুনে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।
সারাবাংলা/এমও