নদীতে ডুবে পাচারকারীর মৃত্যু, ১০ কেজি সোনা উদ্ধার
৯ অক্টোবর ২০২৩ ১১:০৮
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা থেকে ভারতে পাচারের সময় মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিরাজ হোসেন (২২) নামে এক পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার আরেক সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে মিরাজের মরদেহ থেকে তার শরীরে বেঁধে রাখা ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি সোনার বার উদ্ধার করেছে বিজিবি।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পাচারকারী মৃত মেরাজ হোসেন (২২) দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গার বারাদী সীমান্ত দিয়ে দুইজন ব্যক্তি ভারতে সোনা পাচার করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধীনস্থ বারাদী বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সীমান্ত পিলার ৮০/১-আর পাশ দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে চোরাকারবারি মিরাজ ডুবে যান এবং অপর চোরাকারবারি নদী থেকে উঠে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ডুবন্ত মেরাজের লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি সোনার বার। সোনার বারগুলো জব্দ করে উদ্ধার করা লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।
নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন এবং জব্দ সোনাবারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
সারাবাংলা/ইআ