নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা শাজাহান-হাবিরের ৪ বছরের জেল
৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৫
ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মো. শাজাহান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন— কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো.আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আর আদালতে উপস্থিত আমিনুল খালাস পেয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেক ধারাতেও তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধারায় অর্থদণ্ড পরিশোধ না করলে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে যে দুটি ধারায় সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। সেক্ষেত্রে আসামিদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানার যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি সরণিতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যব্যে বাধা দেওয়াসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। তাদের দেওয়া আগুনে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
ওই ঘটনায় ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম মামলাটি করেন। ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন একই থানার আরেক এসআই শাহ মো. সাজু মিয়া।
সারাবাংলা/এআই/টিআর