সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবি
৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৩
ঢাকা: নারী ও শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান এবং তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত সংসদে উত্থাপন এবং চলতি সংসদ অধিবেশনেই পাসের দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য নার্গিস রহমান।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারে নারী মৈত্রী আয়োজিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন।
নার্গিস রহমান বলেন, ‘তামাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। যেখানে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাসের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুমোদনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিটিএফকের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ‘প্রস্তাবিত সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এর মূল উদ্দেশ্য হলো অধূমপায়ী ও নতুন প্রজন্মকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করা।’
কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াছমিন বিপ্লবী বলেন, ‘তামাক একটি মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য। এ দ্রব্য অবিলম্বে বর্জন করা উচিত। এ জন্য আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে তার আগে প্রয়োজন হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করা। তাহলে আমরা জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করতে পারব।’
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর আয়শা মোকাররম, ফারজানা ইয়াছমিন বিপ্লবী, মো, আব্দুস সালাম মিয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মাকছুদা শমশের, মিনু রহমান, ফারহানা ইয়াছমীন কুয়াশা, সাথী আক্তার, খালেদা আলম, শেফালী আক্তার, নার্গিস মাহতাব, সাহিদা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন লাকীসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং নারী মৈত্রীর নারী দলের নেত্রীরা।
সারাবাংলা/আরএফ/একে