থালা-কাঁচি-ঢেঁকিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নতুন ১১ প্রতীক
১০ অক্টোবর ২০২৩ ১২:১৬
ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে হিসাবে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। সেজন্য সংসদ নির্বাচনের পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এরই অংশ হিসেবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নতুন করে ১১টি প্রতীক যুক্ত করেছে ইসি।
নতুন প্রতীকসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য মোট ২৫টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৪৪টি প্রতীকসহ মোট ৬৯টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে ইসি।
জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে সম্প্রতি প্রতীকগুলো সংরক্ষণ করেছে ইসি। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ২৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আগের তালিকা থেকে নেওয়া হয়েছে ১৪টি প্রতীক। এছাড়া নতুন করে যোগ হয়েছে ১১টি।
আগের যেসব প্রতীক তালিকায় রাখা হয়েছে সেগুলো হলো- কলার ছড়ি, খাট, ঘণ্টা, ট্রাক, তবলা, তরমুজ, দালান, ফুলকপি, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, মাথাল, রকেট ও স্যুটকেস। এছাড়া নতুন করে নেওয়া প্রতীকগুলো হলো- কেতলি, আলমিরা, থালা, ঢেঁকি, চার্জার লাইট, মোড়া, কাঁচি, ফ্রিজ, সোফা, দোলনা ও ঈগল।
জানা গেছে, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদা কমিশন ২০০৮ সালের বিধিমালায় ১৪১টি প্রতীক সংরক্ষিত রেখেছিল। সেসময় নিবন্ধিত ৩৯টি দলের জন্য ৩৯টি প্রতীক এবং স্বতন্ত্রদের জন্য ১০২টি প্রতীক সংরিক্ষত করা হয়। পরবর্তীতে কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের সময় দু’টি দল এবং বর্তমান কমিশনের অধীনে দু’টি দল নিবন্ধন পেয়েছে।
এছাড়া এসময়ের মধ্যে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় পাঁচটি দল। আবার শর্ত পূরণ করতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টি, ২০১৭ সালে পিডিপি, ঐক্যবদ্ধ নাগকি আন্দোলন ও জাগপার নিবন্ধন বাতিল হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের রায়ে (২০১৩ সাল) বাতিল হয় ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি।
নিবন্ধিত ৪৪ দলের প্রতীক
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ছাতা, জাতীয় পার্টি-জেপির বাইসাইকেল, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) চাকা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কাস্তে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ধানের শীষ, গণতন্ত্রী পার্টির কবুতর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) কুঁড়েঘর, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (বিডিপি) কুলা, জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মশাল।
অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (বিআইএফ) মোমবাতি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল, খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) হাত (পাঞ্জা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট্রের (বিএনএফ) টেলিভিশন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সিংহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ, ইনসানিয়াত বিপ্লবের আপেল, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মোটরগাড়ি (কার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীক।
এছাড়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তারা, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের মই, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) গরুর গাড়ি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের খেজুর গাছ, গণফোরামের উদীয়মান সূর্য, গণফ্রন্ট্রের মাছ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির গাভী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কাঁঠাল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রিকশা প্রতীক সংরক্ষিত করেছে ইসি।
সারাবাংলা/জিএস/এমও