‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সব ব্যবস্থা নেওয়ার পরও মৃত্যু বেদনাদায়ক’
১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪৪
ঢাকা: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও মানুষের মৃত্যু বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরের প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতি ও উদ্যোগের কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের সব চেষ্টার পরও এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনা ও পীড়াদায়ক।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ: তথ্য শেয়ারিং সেশন’ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। এ কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয় কিন্তু আমাদের আর কোনো কিছু করার বাকি রয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো আলোচনা করার জন্যই বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় আমাদের আজকের এ কর্মশালা। এখানে উপস্থিত আমরা সবাই কেউ কারও প্রতিপক্ষ নই বরং আমরা একে অপরের অংশীদার। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আমাদের অজানা কোনো বিষয় যদি থেকে থাকে তা আলোচনা করার জন্যই আজকের এ কর্মশালা।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ইফাত মাহমুদ এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লায়ে সেক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ায় সারা পৃথিবীতে সাত লাখ মানুষ মারা যায়। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের মতো দেশের জন্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও ১৯৬৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে আসে বলে তথ্যে জানানো হয়েছে কিন্তু এ রোগের ব্যাপকতা ২০১৯ সালে প্রথম আমরা দেখতে পাই। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণই প্রধান বিষয়। মন্ত্রণালয় থেকে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টিভিসি প্রচারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে যেখানে এডিস মশার উৎসস্থল বা লার্ভা পাওয়া গেছে সেখানে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও জনসচেতনতা বাড়াতে সিটি করপোরেশন এবং মন্ত্রণালয় থেকে আমি নিজে মাঠ পরিদর্শন করে জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বছরের প্রথম থেকেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনগুলোর মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ, যন্ত্রপাতি এবং লোকবল রয়েছে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যথাযথ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন জনসম্পৃক্ততা যত বাড়ানো যাবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যত শক্তিশালী হবে ততই এডিস মশার প্রজনন স্থল ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ কমবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ইফাত মাহমুদ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লায়ে সেক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান।
এ কর্মশালায় গণমাধ্যমের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। কর্মশালা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ডেঙ্গু বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ