‘আমরা দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
১১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৪৪
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি এবং তা অর্জন করেছি। তাই আমরা গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বুধবার (১১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম)-এর ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা এবং আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।’ তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসকরা অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গঠন করে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৭-২০০৮ সালের সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। দেশে ফিরলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর হুমকি উপেক্ষা করে দেশে ফিরি আমি।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ন্যায় মানুষের মৌলিক অধিকার- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি এ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এবং আমাদের লক্ষ্য হলো সকল অংশীজনের কথা শোনা।’
বনি গ্লিক বলেন, ‘আমরা মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করনি। আমরা ব্যক্তিগত ক্ষমতাবলে এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, ‘তারা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর চায়।’
দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেন, ‘গণতন্ত্রের কিছু অন্তর্নিহিত সমস্যা আছে। এমনকি সমস্যাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে।’
ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। [সূত্র: বাসস]
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম