টাকার জন্য বন্ধুকে অপহরণ করে হত্যা, ১০দিন পর মিলল মরদেহ
১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৫৪
রাজশাহী: রাজশাহীতে টাকার জন্য মাহফুজুর রহমান সজল (৩৮) নামের এক যুবককে অপহরণ করে হত্যা করেছে তার বন্ধু আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে আরিফুলের বাসার সেফটিক ট্যাংক থেকে ১০ দিন পর সজলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে, কাশিয়াডাঙ্গা থানায় সজলের বাবা অপহরণের অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে তার বন্ধু সজলকে হত্যা করে আরিফুল। এ ঘটনায় আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মাহফুজুর হোসেন সজলের বাড়ি মহানগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায়। বাবার নাম মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেন।
গ্রেফতার আরিফুল হক চৌধুরী নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। রাজশাহী নগরীর সন্তোষপুর এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, নিহত সজল ও আসামি রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। সজলের বাবা কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সজলকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।
এই জিডির পর নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারে, মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর আরিফুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন আরিফুল জানান, অপহরণের পরদিন ২ অক্টোবর রিপনকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহমখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটিক ট্যাংক থেকে সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিজয় বসাক জানান, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহত ব্যক্তির বাবা। সজলের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি রিপনকে বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগেও রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে।
সারাবাংলা/ইআ