৬ কর ভবনে খরচ লাগবে ৫৩১ কোটি টাকা
১৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৫
ঢাকা: তিন বিভাগীয় শহর ও তিন জেলা শহরে একটি করে মোট ছয়টি কর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বহুতল কর ভবনের পাশাপাশি বহুতল ডরমিটরি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এতে। সব মিলিয়ে ছয়টি কর ভবন তৈরির জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
‘তিনটি বিভাগীয় শহর ও তিনটি জেলা সদরে কর ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। বিভাগীয় তিনটি হলো সিলেট, বরিশাল ও রংপুর। অন্যদিকে জেলা শহর তিনটি হলো— রংপুর কর অঞ্চলের অধীন দিনাজপুর এবং কুমিল্লা কর অঞ্চলের অধীন নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডব্লিউডি)। এনবিআর বলছে, চারটি কর অঞ্চলের কার্যালয়গুলোকে এই ছয়টি ভবনে আনা গেলে আয়কর সংগ্রহ কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় শহরে ৯ তলা করে কর ভবন ও পাঁচ তলা করে ডরমিটেরি ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জন্য সাত তলা কর ভবন ও চার তলা ডরমিটরি ভবন নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবনায়। বিভাগীয় ও জেলা শহরে এরকম বহুতল ভবন কতটুকু উপযোগী, পিইসি সভা হলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের একটি সূত্র।
পিইসি সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকল্প এলাকাকে জলাবদ্ধপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট অঞ্চলটি ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা যা জোন–৪–এ অবস্থিত। এ বিষয়গুলো সভার আলোচনায় উঠে আসবে। এ ছাড়া এই প্রকল্পে ৫৮ হাজার ৯৩২ দশমিক ৬৬ বর্গমিটার আয়তনের অফিস স্পেস নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কত জন কর্মকর্তার জন্য কতটুকু স্থান প্রয়োজন এবং সেটি কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে, পিইসি সভা হলে সেটিও জানতে চাওয়া হবে।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সারাবাংলাকে বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে কাজের পরিবেশ উন্নত করা জরুরি। এ বিবেচনায় প্রকল্পটির গুরুত্ব আছে। পিইসি সভায় প্রস্তাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। সুপারিশ বাস্তবায়ন করে সংশোধিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে এলে সেটি অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারের রূপকল্প ২০৪১ সফল করতে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর বিকল্প নেই। জাতীয় বাজেটের অর্থ জোগানেরও প্রধান উৎস অভ্যন্তরীণ রাজস্ব। এ খাতে আয়করের অবদান অপরিসীম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর আহরণে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এ বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাজস্ব আহরণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজের গতি বাড়ানো, উন্নত পরিবেশ তৈরি ও করদাতাদের আরও বেশি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়াতে এই কর ভবনগুলো নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সারাআংলা/জেজে/টিআর