ফিডের মান উন্নয়নে একঝাঁক উদ্যমী ও গবেষক কাজ করছেন
১৩ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৬
ঢাকা : খামারিদের ফিডের মান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একঝাঁক উদ্যমী ও গবেষকরা কাজ করছেন। ফিডের মান নিশ্চিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গুনগতমানের কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে। অচিরেই খামারিদের মুরগির বাচ্চার চাহিদা পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে দেশের প্রাণিজ আমিষকে নিরাপদ করার পূর্বশর্ত হলো পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুণগতমানের ফিড (ডেইরি, পোলট্রি ও মৎস্য খাদ্য ) উৎপাদন করে অল্প সময়ে মধ্যেই খামারিদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক পরিবেশক সম্মেলনে (ভার্চুয়ালি) যুক্ত হয়ে আস্থা ফিডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন চৌধুরী এ সব কথা বলেন।
পরিবেশকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পরিবেশকদের ভালো সার্ভিস ও বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। আমাদের কাছে আপনাদের যে সব বিভিন্ন দাবি রয়েছে সেগুলো সমাধানে জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের সাফল্যের আপনারা অংশীদার। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আস্থা ফিড প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে আস্থা ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদদিন খান বলেন, ‘আমাদের পথচলাটা নিষ্কণ্টক ছিল না। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে আমাদের এই অবস্থানে এসেছি। সবার ঐকান্তিক পরিশ্রমে আজ আস্থা ফিড পরিবেশক ও খামারিদের আস্থা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই দেশ ও জাতির মেধা উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই।’
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আস্থা ফিডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম এ মালেক। তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টসের পরেই ফিড শিল্পের অবস্থান। তিন বছর আগে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও আমরা খামারি ও পরিবেশকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। নিশ্চিত করেছে পণ্যের গুণগতমান এবং সার্ভিস। শুরুতে ২৩ টি জেলায় ব্যবসা পরিচালনা করা হলেও আজ ৫৮টি জেলায় কার্যক্রম চলছে।’
সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সি এম ও) নুরুল মোর্শেদ খান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেছি। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের মধ্যকার বিভিন্ন সমস্যাগুলো সমাধান করে আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা চেইন তৈরি করা হবে। যাতে করে আপনাদের সব সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ভালুকার পরিবেশক ও মা পোলট্রি ফিডের কর্ণধার মো. জাহিদ হাসান জানান, তিনি ২০০০ সালের নভেম্বরে আস্থা ফিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তখন তার ফিড বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩০০ টন। তিন বছরের ব্যবধানে তিন এখন পোলট্রি ফিড বিক্র করছেন ১ হাজার টন। গুনগতমাণের ফিড উৎপাদন করায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে আস্থা ফিডের প্রসার।
সারাবাংলা/জিএস/একে