সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বরিশালের সিনেমা হলে
১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩৭
বরিশাল: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি বরিশাল বিভাগের দুটি হলে প্রদর্শিত হচ্ছে। এরমধ্যে অভিরুচি সিনেমা হলটি বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে অবস্থিত। সারাদেশের মতো এ সিনেমা হলেও ছবিটি মুক্তি পায় শুক্রবার। এর আগে সিনেমাটির পোস্টার টানানো হয় নগরীজুড়ে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অভিরুচি সিনেমা হলে দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত সিনেমা দেখতে আসেন সব বয়সের মানুষ। আগামী বেশ কয়েকদিন এভাবেই দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া থেকে সিনেমা দেখতে এসেছেন ইমাম হোসেন। কথা হলে তিন বলেন, ‘স্বাধীনতার মহানায়ককে সামনে থেকে দেখতে পারিনি। বইতে তার সম্পর্কে জেনেছি। আমরা নতুন প্রজন্ম তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপলব্ধি করছি। সিনেমাটি দেখে মনে হচ্ছিল ৭১-এ যেন আমিও দাঁড়িয়ে আছি।’
অন্যন্যা জাহান নামে আরেক দর্শক বলেন, ‘বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে জেনেছি। তাকে নিয়ে যখন সিনেমার ট্রেলার দেখেছি, তখন আর সিনেমাটি না দেখে ঘরে থাকতে পারলাম না। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে একটি চমৎকার উপস্থাপন। আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম এই সিনেমার মাঝে।’
অভিরুচি সিনেমা হলের ম্যানেজার রেজাউল কবির বলেন, ‘আমাদের সিনেমা হলে ৩২৫টি আসন রয়েছে। শুক্রবার হলে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি লাগানো হয়। সাড়ে ১২টায় একটি শো, সাড়ে ৩টায় একটি ও সাড়ে ৬টায় লাস্ট শো হয়। সিনেমাটি দেখতে সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ আসছেন। এ সিনেমাটি দেখার জন্য বাড়তি একটি ভিড় রয়েছে। তবে এমন হয়েছে অনেক অনেক বছর পরে। এ সিনেমাটি সপ্তাহজুড়ে চলবে।’
এদিকে পটুয়াখালীর শহরে এক সময় সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল তিনটি। এরমধ্যে দুটি বন্ধ হয়ে গেলেও তিতাস সিনেমা হল কোনোরকমে টিকে আছে। তবে প্রায়ই সিনেমা হলটি বন্ধ থাকে। তবে অনেকদিন পর সেই ব্যবহার অনুপযোগী সিনেমা হলে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখতে দর্শকদের ভিড় জমেছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টা থেকে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে। সেই সিনেমা দেখতেই ভিড় জমেছে কোনোমতে টিকে থাকা সিনেমা হলটিতে।
সিনেমাটি দেখে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিফাত হাসান সজিব বলেন, ‘আমি ছবিটি দেখেছি। আমি সবাইকে আহ্বান করব ছবিটি দেখতে। ছবিটি যিনি দেখবেন তিনি অনুধাবন করতে পারবেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে ছিলেন। দেশের ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে পারবে। বুঝতে পারবে যে মুজিব মানেই স্বাধীন বাংলাদেশ।’
পটুয়াখালীর তিতাস সিনেমা হলের ম্যানেজার মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও শারদীয় দূর্গা পূজা ছাড়া একসঙ্গে এরকম ৩৫০টি টিকিট বিক্রি করিনি। সিনেমা হলে ৩০০ আসন থাকায় পরবর্তীতে ৫০টি আসন বৃদ্ধি করি। সেই টিকিটও বিক্রি হয়ে যায়।’
প্রসঙ্গত, ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। বঙ্গবন্ধুর খোকা থেকে মুজিব হয়ে ওঠা এবং জাতির পিতা পরিণত হওয়ার সংগ্রামী ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। এছাড়া পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতার ইতিহাস স্থান পেয়েছে।
সারাবাংলা/একে