‘বিশ্ব নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন’
১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪৩
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনে নিপীড়িত জনগণের উপর হামলা চালিয়েছে, ঔষধ বন্ধ করে দিয়েছে, বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দিয়েছে। তখন আপনি বিশ্ব নেতা হিসেবে আপনার কন্ঠকে সোচ্চারিতভাবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করো।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাওলায় সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধনি দিনে জনসভা হওয়ার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়া বিবেচনায় এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছিল। আজ রাজধানীর কাওলা এলাকার সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভাকে সফল করতে রাজধানীসহ পাশ্ববর্তী জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের আগমনে জনসভা উন্নয়নের উৎসবের জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আজকে আমরা যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। সেই পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের কোনো লজ্জা শরম নাই। যার এক কান কাটা সে হাঁটে রাস্তার এক পাশ দিয়ে। আর যার দুই কান কাটা সে হাঁটে রাস্তার মাঝখান দিয়ে, লজ্জা শরম সব বালাই দিয়ে।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কিসের জন্য অনশন করছেন? খালেদা জিয়া তার কর্মফলে কারারুদ্ধ হয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। আর মানবিক নেত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে এনে সুরম্য প্রসাদে রেখেছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা, সবচেয়ে নামীদামি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তারপরও আপনাদেরকে স্মরণ করে দিতে চাই। মানবিক নেত্রী শেখ হাসিনা যে মানবতা দেখিয়েছেন আর আপনারা ক্ষমতায় থাকতে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড উপহার দিয়েছিলেন। ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তার হত্যা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। বাংলার জনগণ তা ভুলে যায়নি।’
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছেন। আমাদের হাত নেতাকর্মীদের হাত কেটেছেন, পা কেটেছেন। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছেন বলেও বিএনপির সমালোচনা করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক। তাই এবারও বিএনপি যে পথে হাঁটছে, এই পথে হেঁটে লাভ নাই বলেও দাবি করেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই জনসভা থেকে শপথ নিতে হবে। ওরা যেন কোনভাবেই দেশে কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে। তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আ ফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ