‘দেশকে ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না’
১৪ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:১৫
ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। বিদেশ থেকে ব্যবহৃত পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল আমদানি জাতীয় জীবনে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি। আমরা দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না। এগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার পর কিভাবে দেশে ঢুকছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ও সেগুলোর বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন ২০২১ টাওয়ারে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ই-বর্জ্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং তা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করার প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এই সেমিনার আয়োজন করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে ই-বর্জ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি দক্ষ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা অপরিহার্য। ই-বর্জ্যের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি এবং ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং করে এটিকে সম্পদে পরিণত করতে সমন্বিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসুন।’
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘ই-বর্জ্যের কাঁচামাল কাজে লাগানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলোকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। ই-বর্জ্য পুনরায় কী কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। ই-বর্জ্য নিয়ে সেই ভিত্তিতে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে। এই জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি, জেআর রিসাইকেলিং সল্যুশন লিমিটেড এবং এনএইচ এন্টারপ্রাইজ’র সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) এবং এফবিসিসিআইয়ের ইনোভেশন এবং রিসার্স সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাণিজ্যিক মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের উপ-পরিচালক, মোহাম্মদ সাইদ আলী, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সভাপতি সুব্রত সরকার, আইএসপিবিআইয়ের সভাপতি ইমদাদুল হক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ডিন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) বিভাগের অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিআইজেএফ এর সভাপতি নাজনীন নাহার। সঞ্চালনা করেন সার্ক সিসআই’র নির্বাহী সদস্য শাফকাত হায়দার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজা পারভীন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের সহ-প্রধান অধ্যাপক শেখ রাশেদ হায়দার নূরি, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং জেআর রিসাইকেলিং সল্যুশনের জেনারেল ম্যানেজার মঞ্জুর আলম। সমাপনী বক্তব্য দেন বিআইজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।
উল্লেখ্য, এর আগে সকালে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে এক শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম