হলি আর্টিজানে হামলা: মামলায় হাইকোর্টের রায় ৩০ অক্টোবর
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ০১:২৯
ঢাকা: ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের অংশেরও সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়েছে। এ পর্যায়ে আগামী ৩০ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শহীদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে দিয়েছেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মামলাটির রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন নির্ধারিত দেখা গেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরিফুল ইসলাম ও আমিনুল এহসান।
বহুল আলোচিত মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি শহীদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এ বছরের জানুয়ারিতে মামলাটির শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ মে, ১৫ মে, ১৭ মে ও ১৮ মেসহ কয়েকটি কার্যদিবসে মামলাটির শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, বুধবার (১১ অক্টোবর) এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন। মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকবে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ মামলায় বিচারিক আদালত সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দিয়েছিলেন। তাদের সবাই এখন কনডেম সেলে আছেন। এই সাতজনের মধ্যে চারজন নিয়মিত আপিল এবং বাকি তিনজন আপিল করেছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে স্মরণকালের ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা হয়। হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পাঠান বিচারিক আদালত।
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য নিয়ম অনুযায়ী পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ দিলে সেখানে মামলার শুনানি হয়।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে যে সাতজনকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন তারা হলেন— জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পান।
সারাবাংলা/টিআর