নিবন্ধন ছাড়া এইচপিভি ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ নেই: ডিজি হেলথ
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩৮ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০০
ঢাকা: জরায়ুমুখ ক্যানসারে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে স্কুল পর্যায়ে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিন নিতে হলে প্রথমে ভ্যাক্স ইপিআই অ্যাপে জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনোভাবেই এই ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি হেলথ) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ভিকারুন নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন ডিজি হেলথ।
অধ্যাপক ডা. খুরশীদ বলেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে মেয়েদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে বিনামূল্যে এইচপিভি ভ্যাকসিন কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েরা এই ভ্যাকসিন। প্রয়োগ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। পরের ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, নারীদের সুরক্ষা দিতে এই কার্যক্রম। দেশজুড়ে ধাপে ধাপে সবাইকে এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যানসারের বিষয়ে সচেতন হতে সব বয়সী নারীদের।
ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রাণঘাতি এক রোগ। দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী এই রোগে ভুগে মারা যাচ্ছেন প্রতি বছর।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ফলে দেশব্যাপী স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হলো আজ। এইচপিভি ভ্যাকসিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এর সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও সম্পন্ন হয়েছে। আগামীতে দেশের সকল নারীদের এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। যার মধ্য দিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসারে নারী মৃত্যুও কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. মো. আখতারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী। ইউনিসেফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ডা. রিয়াদ মাহমুদ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. রাজেন্দ্র বহরা।
সারাবাংলা/এসবি/আইই