সংবিধান ও আইনের বাইরে সংলাপ হবে না: আইনমন্ত্রী
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৫৮
ঢাকা: বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের জন্য অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসেবে পাঁচ সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ মতামত প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘পর্যবেক্ষক দল যে সুপারিশ করেছে তার প্রায় সবগুলোই আমরা পূরণ করেছি।’
নির্বাচন কমিশন স্বাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সংবিধান ও আইন মেনেই দেশে নির্বাচন হবে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কীনা তা তো বলা যাবে না।
রোববার ( ১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তারা বলছেন কমিট টু ননভায়োলেন্স। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মতো এমন সরকার যেখানে এসব হয় না। কমিট টু ননভায়োলেন্স আওয়ামী লীগের ইতিহাসে কোনোদিন অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়নি। আমরা দেখেছি এবং সেই অবরোধ কিন্তু এখনও তোলা হয়নি।’
অবরোধ কিন্তু এখনও চলছে উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই রকম সহিসংসতা আমরা করিনি। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করেছি আমরা সবসময়। যারা এই রাজনৈতিক সহিংসতা করছে তাদেরকে আমরা বিচারের আওতায় আনছি চেষ্টাও করছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আমরা কন্ডিশন ক্রিয়েট করে নিয়েছি। আমাদের সংবিধান ও আরপিও বলে যে নির্বাচনের সময় নির্বাচনের বিষয়ে যে সব অফিস আদালত ও যন্ত্রপাতি নির্বাচনে ব্যবহৃত হবে সেটি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই সে বিষয়। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশেই ছিল না বাংলাদেশেও পঞ্চাশ বছরে ছিল না, আমাদের সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি আইন থাকতে হবে। আমরা সেই আইনটিও করে দিয়েছি। সেই আইনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। তৃতীয়ত, সেই নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীনতা শক্তিশালী করার জন্য সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য তারা আইনের পরিবতর্ন ও সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন আমরা সেটিও করে দিয়েছি। এই যে এখন কথা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই না দেখা যাবে যে নির্বাচন স্বাধীনভাবে হলো কি না? নির্বাচনে অংশ না নিয়েই যদি কেউ বলে নির্বাচন করব না তাহলে নির্বাচন সঠিক হলো কীনা তা বলার সুযোগ থাকল না।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই, সব ভোটার ভোট দিতে পারবেন— এটিই সুষ্ঠু নির্বাচনের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। আওয়ামী লীগ শুধু যে এটিকে চালু রাখতে চায় তা না, চালু রাখার জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। এই কথাগুলো ওনারা বললেন, আমরা প্রায় সবগুলো মেনে ফেলেছি। দেশে একটা সংবিধান আছে এবং সেই সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে এবং দেশে আইনও আছে। সংবিধান ও আইন মেনে নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে বা আইনের বাইরে কোনো সংলাপ হবেনা।সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসেন তাহলে তো কোনো আলোচনার প্রয়োজন হয় না।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কথা হয়েছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনটাতে আমরা কথামতো পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিকি অ্যাক্ট করেছি। এই আইনটি কিন্তু দন্তবিহীন আইন। এখানে সবগুলো জামিনযোগ্য হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরাও আইনও পরিবর্তন করে দিয়েছি।’
সারাবাংলা/জেআর/একে