স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ‘ফাটাকেষ্ট’র মৃত্যুদণ্ড
১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২১
দিনাজপুর: ৯ বছর আগের কথা। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার মথুরাপুর কুতুবডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমান। ভোরে স্ত্রীর ভাইকে ফোন দেন। বলেন, ‘আমি ফাটাকেষ্ট। তোমার বোনকে খুন করেছি। লাশ দাফনের ব্যবস্থা করো।’
৯ বছর আগের সেই চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে একমাত্র আসামি নিজেকে ‘ফাটাকেষ্ট’ দাবি করা মজিবর রহমানকে বিচারক মৃত্যুদণ্ড সাজা দিয়েছেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্ত্রী কহিনুর বেগমের সঙ্গে মজিবর রহমানের ঝগড়া হয়। সন্তানরা তাদের ঝগড়া বন্ধ করান। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর যে যার মতো শুয়ে পড়েন। ওই রাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলাকেটে হত্যা করেন মজিব রহমান। পরদিন ২৬ অক্টোবর ভোরে তিনি স্ত্রীর ভাই জিয়াউর রহমানকে ফোন দেন। বোনের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে বলেন তাকে।
মামার কাছ থেকে খবর পেয়ে কহিনুর-মজিবর দম্পতির ছেলে বাবু মিয়া, সুজন ও আব্দুল হালিম ঘটনাস্থলে মায়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এর মধ্যে বাবু মিয়া এ ঘটনায় বাবাকে একমাত্র আসামি করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন।
পিপি রবিউল ইসলাম বলেন, সব সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এটি হত্যা মামলায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সারাবাংলা/টিআর