গৃহবধূকে ‘হত্যা’, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক
১৬ মে ২০১৮ ১৮:৪৮
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামে খাদিজা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামী এবাদুল মৃধাসহ তার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (১৬ মে) সকালে খাদিজার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, মেয়েটির শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভাষানচর গ্রামের গোলাম মাওলা কাজীর মেয়ে খাদিজা বেগম। ২০১৬ সালের নভেম্বরে একই একই গ্রামের ছমেদ মৃধার ছেলে এবাদুল মৃধার সাথে খাদিজার বিয়ে হয়।
প্রতিবেশী ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর খাদিজার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের টাকার জন্য তাকে নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েক মাস আগে খাদিজা বাবার বাড়ি ফিরে যান। কয়েক দফা সালিসের পর খাদিজা শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান। মঙ্গলবার (১৫ মে) রাতে খাদিজাকে মারধর করা হয়। তাকে ঘরে আটকে রেখে পালিয়ে যান স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার সকালে ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ খাদিজার বাবার বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা এসে ঘরের খাটের ওপর কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় খাদিজার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পালং থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
খাদিজার ভাই শাহীন কাজী বলেন,আমরা গরিব মানুষ,দিন আনি দিন খাই। বোনের শশুরবাড়ির চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারিনি। টাকার জন্য তাকে নিয়মিত নির্যাতন করা হত। পাষণ্ডরা যে আমার বোনকে হত্যা করবে তা ভাবতে পারিনি। তাহলে ওকে আর শশুরবাড়ি পাঠাতাম না।
সারাবাংলা/টিএম
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook