মনজিল হত্যা মামলায় দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জনের সাক্ষ্য
১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩২
ঢাকা: রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া এ কে এম মনজিল হক হত্যা মামলায় তৎকালীন দুই ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক ও দেবব্রত বিশ্বাসসহ ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
অন্য সাক্ষীরা হলেন, ডাক্তার প্রদীপ বিশ্বাস, পুলিশের এ এস আই টুটুল হোসেন ও কনস্টেবল মোস্তফা।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৩১ জনের সাক্ষ্য হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন মনজিলের সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, সৎ ভাই এ কে এম ইয়াসিন হক, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও আবু ইউসুফ নয়ন। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।
পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে সম্পত্তির লোভে মনজিলকে সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎ ভাই এ কে এম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা আপন বড় ভাই। তারা একই সঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পেছনে মনার ছেলে মনজিল এবং ইয়াসিন ও ফারুকের ছেলে নিজেদের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে নিহতের বাবার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। নিহতের বাবার মারা যাওয়ার পর সেই ক্ষোভ মনজিলের ওপর ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাতিজা ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুক যোগ দেয়।
সারাবাংলা/এআই/একে