বিএনপি নেতা দুলু কারাগারে, ১১ জন রিমান্ডে
১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪৫
ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা থানায় নাশকতার মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে১১ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া বাড্ডা থানায় করা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এদের মধ্যে দুলুকে কারাগারে আটক এবং অপর ১১ আসামির প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, মাকছুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আবির ইসলাম সাত্তার, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে মামুন, শিমুল মিয়া, সোহেল, মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু ও শাহীনূর রহমান।
এর আগে আসামিদের পক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, মহসিন মিয়া, মো তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, কে এম খায়রুল কবির, এম টি উল্লাহসহ প্রমুখ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুলুকে কারাগারে প্রেরণ এবং ১১ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রীণ টাওয়ারের নিচ তলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে মর্মে সংবাদ পায় পুলিশ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছা মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে এসআই মানিক কুমার সিকদার আঘাত পান। আসামিরা এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ অন্যান্য অফিসারদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থলে তারা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহবানে সমবেত হয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও স্বীকার করেন যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুলুকে গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিয়ে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সারাবাংলা/এআই/এনইউ