‘ডাক্তার বলেছেন ৪ বছর বাঁচব, আমাকে জামিন দিন’
১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৬
ঢাকা: আমি ক্যান্সারের রোগী; অনেক অসুস্থ। এক বছর ধরে কেমো নিচ্ছি। এক মাস পর পর কেমো নিতে হয়। জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে কিন্তু ডাক্তার বলেছেন চার বছর বাঁচব। এর মধ্যে এক বছরতো চলেই গেছে। আমাকে জামিন দিন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতকে শুনানির সময় সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এসব কথা বলেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া বাড্ডা থানায় করা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এদের মধ্যে দুলুকে কারাগারে আটক এবং অপর ১১ আসামির প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে মো. বোরহান উদ্দিন, মহসিন মিয়া প্রমুখ আইনজীবীরা শুনানি করেন। দুলুর জামিন শুনানিতে তারা বলেন, তিনি অসুস্থ, ক্যান্সারের রোগী। কেমো নিতে বিদেশে যাবেন। তার অবস্থা খুব খারাপ। তাকে জামিন দিন। বেঁচে থাকলে তার বিচার হবে। অপর আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা।
এরপর আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, দুলু সাহেব কিছু কথা বলবেন। এরপর রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আদালতকে বলেন, আমি ক্যান্সারের রোগী। অনেক অসুস্থ। এক বছর যাবৎ কেমো নিচ্ছি। এক মাস পর পর কেমো নিতে হয়। যে মেডিসিন নিতে হয় তা আমেরিকা থেকে ভারত হয়ে আনতে হয়। গত ৩ অক্টোবর কেমো নেওয়ার ডেট ছিলো। কেমো না আসায় গত তারিখে নিতে পারিনি। অনেক টাকা লাগে। টাকাও ম্যানেজ করতে পারিনি। এখন ম্যানেজ করেছি। কিন্তু এর মাঝে আমাকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে কিন্তু ডাক্তার আমাকে বলেছেন চার বছর বাঁচব। এর মধ্যে এক বছরতো চলেই গেছে। আপনার কাছে আমার আবেদন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমাকে জামিন দিন। পুলিশ দেখছে আমি অসুস্থ। একারণে তারা রিমান্ডও চায়নি। এরপর বিচারক জানতে চান, ক্যান্সারের রোগী হয়ে সভা-সমাবেশে যোগ দেন কেমনে?
তখন তার আইনজীবীরা বিষয়টি অন্য দিকে নিয়ে যান। তারা তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সাথে ১১ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/এনইউ