সিরাজগঞ্জ: শাহজাদপুরে যৌতুকের দাবিতে রেহেনা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের ভাট দিঘুলিয়ার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রেহেনা খাতুন বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের খলিল সিকদারের মেয়ে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনালের হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
নিহতের মা জহুরা খাতুন বলেন, ‘প্রায় ৫ বছর আগে পারিবারিক ভাবে ৭০ হাজার টাকা যৌতুকের বিনিময়ে উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের ভাট দিঘুলিয়ার চর গ্রামের সেরাজ সরকারের ছেলে সেলিম সরকারের সঙ্গে রেহেনা খাতুনের বিয়ে হয়। ঘটনার ২/৩ দিন আগে তারা আবারও যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে মারপিট ও নির্যাতন করেছে। সবাই মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।’
এ ঘটনায় নিহতের মা জহুরা খাতুন বাদী হয়ে, রেহেনার স্বামী ঘাতক সেলিম সরকার (২৭), শাশুড়ি মনোয়ারা খাতুন (৫০), শ্বশুর সেরাজ সরকার (৬০), দেবর ইউসুফ আলী (২৩), ননদ উর্মি খাতুন (২২) ভাশুর রমজান আলী (৩৫) ও চাচা পিয়ার সরকারকে (৬২) আসামি করে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে গেছে। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা জহুরা খাতুন থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা আমরা নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’