চট্টগ্রামে ২৬ দিন ধরে এক প্রকৌশলী নিখোঁজ
১৬ মে ২০১৮ ১৯:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে গত ২৬ দিন ধরে সাদমান সাদিক নামে এক প্রকৌশলীর কোনো খোঁজ মিলছে না। গত ২২ এপ্রিল নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি সাদমান।
২৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় সাদমানের বাবা আব্দুল আউয়াল ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।
এরপর থেকে সাদমানকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাশ ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তাদের ধারণা, অভিজাত পরিবারের এই সন্তান কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, সাদমান বাসা থেকে বের হবার সময় সঙ্গে কোনো মোবাইল কিংবা অন্য কোনো ডিভাইস নেননি। এই কারণে তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি কোনো ক্লুও আমরা পাচ্ছি না।
তবে সিটিটিসির একটি দল গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে ডবলমুরিং থানায় এসে সাদমান সাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সাধারণত শিক্ষিত তরুণ-যুবক নিখোঁজের পর তারা জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে ধরে নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট কাজ শুরু করে। সাদমানের ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ শুরু করেছে। তবে সাদমান কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য আমাদের কাছে নেই।
জানতে চাইলে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার আব্দুল মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন যুবক নিখোঁজের ঘটনা বিশ্লেষণ করে আমরা সাদমান জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে এটা কনফার্ম না। কাজ চলছে।
প্রকৌশলী সাদমান সৌমিক ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ পোস্তারপাড় এলাকায় তাদের বাসা। প্রান্তিক মেরিন সার্ভিসেস নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরিও করতেন। তার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে জেনেছি, সাদমান নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। কথাবার্তা কম বলতেন। সাধারণত উগ্রবাদে জড়িতদের এই ধরনের আচরণ আমরা লক্ষ্য করি। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই