‘অবস্থানের নির্দেশ দিইনি, মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ’
২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০৬
ঢাকা: ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে, ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সারা দেশের নেতা-কর্মীরা আমাদের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করবে। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলব- কোথাও আপনারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না। এটা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে।’
‘ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। আমরা আবারও বলছি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এ জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের থাকবে। আমরা কোনো নেতা-কর্মীকে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিইনি’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই সরকার বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারে। অন্যথায় দেশে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য এই সরকারকেই দায় বহন করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা জানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সেজন্যই তো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ হচ্ছে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এমনকি আদালতকেও ব্যবহার করছে। আমরা দেশের সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি একটাই অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ, এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা দেশে বিদেশে সবাই বলছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় করে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বারা কিন্তু কোথাও সহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবুও আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে মাত্র ৪ দিনেই ৪৮টি মামলা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আসলে তারাও বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে এক হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মো. শরীফুল আলম, হারুন অর রশিদ, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, এসএ কবির জিন্নাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাখাওয়াত হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, অঙ্গসংগঠনের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অনান্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ