ছয় মাসে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফুল রপ্তানি
১৬ মে ২০১৮ ২০:০৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (২০১৭ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর) ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফুল রপ্তানি হয়েছে। এই অর্থবছরে ফুল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ মিলিয়ন ডলার।
বুধবার (১৬ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফুলের চাষাবাদ খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় আরো জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের চাষাবাদ হয়। এ খাতে প্রায় ২ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে ফুলের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে বছরে ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফুলের চাহিদা রয়েছে সারাবিশ্বে। ফুলের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবদান মাত্র শূন্য দশমক ৩ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
ফুলের চাষাবাদসহ এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা, নতুন নতুন চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, এয়ারকন্ডিশন সুবিধায় পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার প্রসারসহ এ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিয়াদ হোসেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে চায়না হর্টিকালচার বিজনেস সার্ভিসেসের সভাপতি হেইডি ওয়ারনেট বলেন, এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে জলবায়ু ও মাটির উৎপাদন গুণাগুণ অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষাবাদে দেশগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ফুল চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশে ফুল চাষকে শিল্প হিসেবে রূপান্তরের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হেইডি ওয়ারেন আরো বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ফুলের বৈশ্বিক বাজার ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। সেই বাজার ধরতে চাইলে বাংলাদেশকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির বলেন, বাংলাদেশে ফুল চাষকে কৃষিখাতের একটি উপ-খাত হিসেবে শিল্পনীতির আওতাভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
ইউএসএআইডি’র এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রকল্পের সহযোগিতায় ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিসিআই পরিচালক ইঞ্জি. মো. আল আমিন, সাবেক সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহস অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন এই সেমিনারে।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর