Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বোনের হত্যাকারী আপন ভাই: পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০৬

চুয়াডাঙ্গা: মামলা রুজুর ৭ ঘণ্টা পর পুলিশের তদন্তে জানা গেল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুর পাড়ায় বোন মিম আক্তার মঞ্জুরার (২৮) হত্যাকারী তারই আপন ভাই আলমগীর কবীর।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দীন আল আজাদ হত্যাকাণ্ডের বিষটি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সোমবার (২৩ অক্টোবর) দর্শনা থানায় নিহত মিম আক্তার মঞ্জুরার স্বামী সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করেন। মামলা রুজুর  ৭ ঘণ্টা পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লহ আল-মামুনের নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চে (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর শহিদুল বাশার, সাজ্জাদ হোসেন, মুহিদ হাসান, সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর রজিবুল হক তদন্ত শুরু করেন। মামলার বাদী নিহত মিম আক্তার মঞ্জুরার স্বামী সুরুজ মিয়া ও আশপাশের লোকজনের বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, গত শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে আলমগীর কবীর (৩২) তার বোন মিম আক্তার মঞ্জুরাকে হত্যা করে।

পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আলমগীর কবীর স্বীকার করে যে, বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ তার বোন মিম এক সঙ্গে তাদের বাড়ীতে বসবাস করত। বোন মিম তার আপন খালাতো বোনের স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সে তাকে পরকীয়া থেকে ফিরে আসতে বারবার সর্তক করে। কিন্তু তার বোন প্রেমের সম্পর্ক থেকে ফিরে আসতে নারাজ ছিল এবং প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকে। সে রাগের বশবর্তী হয়ে বোন মিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।

বিজ্ঞাপন

পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক গত শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বোন মিমকে কৌশলে বাড়ির পাশে আমবাগানে ডেকে নিয়ে যায় এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মিমের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে। হত্যার পর মরদেহ বেগুন ক্ষেতে নিয়ে যায়।

সেখানে ধারালো দা দিয়ে সে তার বোন মিমের গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে ঘটনা অন্যদিক প্রবাহিত করার জন্য আলমগীর ওই দা দিয়ে নিজের মাথায় তিনটি পোঁচ দেয় এবং আমগাছে থাকা দড়ি নিয়ে নিজে নিজেই হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে অপহরণের নাটক সাজিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করে।

ঘটনার বিষয়ে আদালতের কাছে আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা জামাকাপড় আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সারাবাংলা/একে

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা হত্যাকাণ্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর