ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ভোলায় প্রস্তুত ৭৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র
২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:০৭
ভোলা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ভোলায় সাত নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি জেলার সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ভোলার বিচ্ছিন্ন প্রায় ৭০টি চরাঞ্চল থেকে তিন লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিব কিল্লা।
প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা মাইকিং করছেন। সাগরে থাকা সব মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আটটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র।
এতে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ। এ ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি ও পাঁচ হাজার রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক। বেশি ঝুঁকিতে থাকা চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষকে কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ চলছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৯৬টি মেডিক্যাল টিম।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি জেলার সব দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইআ