Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জামায়াতকে অনুমতি দেওয়া হয়নি, ঢাকার প্রবেশ পথ বন্ধ হবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:১১

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীতে আগামী ২৮ অক্টোবর সমাবেশের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নিবন্ধিত দল না হওয়ায় জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলাম অনুমতি পাবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা পারমিশন দেইনি, আমরা তাদের কোনো পারমিশন দেই না। এখন পর্যন্ত জামায়াত ইসলামী কোনো নিবন্ধিত দল নয়, কাজেই তারা জামায়াতে ইসলামের ব্যানারে যদি আসে, তাহলে তাদের পারমিশন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক দল, অনেক পথ, অনেক কিছু রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এর আগেও দু-এক জায়গায় আলোচনা করেছে। দেশের নিয়মকানুন মেনে, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে যে কেউ, যে কোনো কথা বলতে পারে, জামায়াত বলে কোনো কথা নেই। যে কেউ যে কোনো কথা বলতে পারে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক চর্চা এখানে আছে। আমাদের কথা হলো, আমাদের যে আইনকানুন আছে, তার মধ্য থেকে তাদের কথা বলতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর সরকার ঢাকার প্রবেশপথ কেন বন্ধ করবে? ঢাকায় মানুষ আসবে ব্যবসায়ীক কাজে, চাকরির কাজে। অনেকে ঢাকার বাইরে থেকে এসে ঢাকায় অফিস করেন। কাজেই ঢাকার পথ আমরা কেন বন্ধ করব? আমরা ঢাকার কোনো পথ বন্ধ করব না। তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে চলে যায়, আমরা বাধা দেব না।

এখনো কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমাবেশের যে অনুরোধ করেছে, কীভাবে করেছে সেটা পুলিশ কমিশনার জানেন। ঢাকায় কোনো জায়গায় করলে, এত লোক আনবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে। তারা নাকি সারা বাংলাদেশ থেকে যারাই বিএনপি করে, তাদের নাকি নিয়ে আসবে। কোনো সদস্যই নাকি বাদ থাকবে না। এমনই আমরা শুনছি। তেমনই যদি হয়, এত লোক ঢাকায় আসলে অন্য ধরনের একটা পরিস্থিতি হতে পারে। সেজন্যই আমাদের কমিশনার সাহেব তাদের কোথায় সমাবেশটা করতে দেবেন, সেটি তিনি বুঝবেন। সেভাবেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। কমিশনার সাহেব এখন পর্যন্ত কাউকেই সমাবেশের অনুমোদন দেননি।

সরকার পতনের দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি, এ সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার-তো এমন একটা কিছু নয় যে তারা ধাক্কা দিল, পড়ে গেল। গণতান্ত্রিক সরকার ভোটের মাধ্যমে এখানে এসেছে। তার মেয়াদ পরে নির্বাচন হবে। তারপরই সরকার পরিবর্তন হবে। সংবিধান অনুযায়ী ধাক্কা দিলে সরকার পড়ে যাবে, এ ধরনের কোনো শব্দ লেখা নেই। কনস্টিটিউশন রক্ষা করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সেই কনস্টিটিউশন ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে যদি তারা (বিএনপি) কিছু করার চেষ্টা করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, আমি সব সময়ই বলি, সব রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে গণতন্ত্র চর্চা করার। তাদের প্রচার-প্রচারণার নিয়মকানুন রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত কিছু করলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মানা করবে, বলবে যে আইন ভাঙছেন। কাজেই আমাদের কথা স্পষ্ট, তারা যদি কমিশনারের কাছে আবেদন করে এবং বলে আমরা ভাঙচুর করব, অবরোধ করব, তাহলে তো কমিশনার সাহেব দেবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে তারা যদি অবস্থান করে আমাদের কমিশনার সাহেব নিশ্চয়ই তাদের অনুমতি দেবেন।

একই দিনে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে কামাল বলেন, আইন সঙ্গতভাবে আরও যদি ১০টি দল চায় আমরা ওই দিনই সমাবেশ করব, আমরা বলবো নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে শান্তি রক্ষা করে যদি করতে পার, তাহলে করব। আইনশৃঙ্খলা মেনে চললে বিশৃঙ্খলা হবে না।

আজকের সভার বিষয়ে তিনি বলেন,এ বছর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ হবে না বলে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন সামনে হওয়ায় এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, প্যারেড অনুষ্ঠান হবে না। প্রধানমন্ত্রী যদি চিন্তা করেন প্যারেড হবে, তাহলে হবে। কেন প্যারেড হবে না, সে ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই।

সারাবাংলা/ইউজে/আইই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর