Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্ত্রী হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৯

ঢাকা: ঢাকা জেলার দোহারে শিখা আক্তারকে হত্যার অভিযোগের মামলায় স্বামী রুহুল আমিনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। লাশ গুমে সহায়তা করায় রুহুল আমিনের বাবা মনোয়ার হোসেন, মা আছমা বেগম ও ভাই মারুফ খানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধন হন শিখা। ৩ আগস্ট বিভিন্ন মালামাল দিয়ে তাকে শশুড় বাড়িতে পাঠানো হয়। মালামাল দেখে পছন্দ হয় না শিখার শশুড় বাড়ির লোকজনের। এ জন্য তারা শিখার মা রুনু আক্তারের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। রুনু আক্তার তার মেয়েকে বাড়িতে (নায়রে) নিয়ে আসেন। পরদিন স্বামীকে নিয়ে শশুড় বাড়ি আসে শিখা। রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয়। গত ৬ আগস্ট শিখার বাবা নাস্তা নিয়ে তার শশুড়বাড়ি যায়। তখন আছমা বেগম তাকে জানান শিখাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুহুল তার শশুড়কে জানায়, রাতে শিখার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। শিখার মায়ের সন্দেহ হয়, শশুড় বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। পরে রুহুল আমিনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৬ আগস্ট বেলা পৌনে ৪টার দিকে শিখার লাশ পায় পরিবার। এ সময় শিখার গলায় ওড়না কাপড় দিয়ে সিলভারের কলসীর সঙ্গে বাঁধা ছিল।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় শিখার মা রুনু আক্তার ৬ আগস্ট দোহার থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দোহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন মুন্সী।

২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই/ইআ

স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর