Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জোরালো আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে ৭৮তম অধিবেশনে আমি বাংলাদেশে আশ্রিত নিঃস্ব ও নির্যাতিত বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছি। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান। এদিন প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রশ্নকর্তা নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার লিখিত প্রশ্নে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে প্রধানমন্ত্রী কী কী বিষয় তুলে ধরেছেন তা জানতে চান। লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা ব্যক্ত করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের কল্যাণে সরাসরি ভূমিকা রাখবে এমন কিছু প্রস্তাব বিশ্বের নেতাদের সামনে তুলে ধরেছি।’

প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে, সংকট, মহামারি, যুদ্ধ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার অভাবের কারণে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো এসডিজি বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সুবিধা ২০২৬ পরবর্তী সময়ের জন্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে, বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণ খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর গুরত্বারোপ ও আঞ্চলিক ‘খাদ্য ব্যাংক’ চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম, পদক্ষেপ ও সফলতা তুলে ধরা হয়, যাতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের সাফল্য সম্পর্কে জানতে পারে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে এ বছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘আস্থার পুনঃনির্মাণ এবং বিশ্বব্যাপি সংহতির পুনরুজ্জীবন সম্মিলিত প্রচেষ্টায়-২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা’। এছাড়া বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার, বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং উগ্রপন্থা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।”

বিশ্বশান্তি ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জন এবং অভিন্ন সংকট মোকাবিলায় বিভাজন, সংকীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতার পরিবর্তে একতা, সহমর্মিতা ও বহুপাক্ষিতার উপর গুরুত্বারোপ করি; আর্ন্তাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কার করে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে বিশেষ ছাড়ে, কম খরচে, কম সুদে এবং ন্যূনতম শর্তে অর্থায়ন ও সমস্ত ঋণ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত বিশেষ বিধান অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছি, লিখিত উত্তরে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর