ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশেষ সমাবর্তন আগামী ২৯ অক্টোবর। এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই বিশেষ সমাবর্তনে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং অতিথিদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ (মরণোত্তর) ডিগ্রি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এ ছাড়া প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানান, ২৯ তারিখ সকাল ১০টায় কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন।
শান্তিপূর্ণ এই আয়োজনে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দল, ক্রীয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও ভিন্নমতের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
সমাবর্তনস্থলে প্রবেশের সময় ও স্থান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের ‘জিমনেসিয়াম সংলগ্ন গেইট’ দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করতে হবে। তাদেরকে সকাল ৮টায় গেইট খোলা হবে এবং তাদেরকে সকাল ১০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইগণ, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সুইমিং পুল সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবে। তাদের জন্য সকাল ৯টায় গেইট খোলা হবে এবং তাদেরকে সকাল ১০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।