নিষেধাজ্ঞায় ইলিশ শিকার, চাঁদপুরে ৮৮ জেলে আটক
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৩০
চাঁদপুর: চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৮৮ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌ পুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযানে নৌ পুলিশ ৭২ জনকে, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স পাঁচজনকে এবং হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
ওসি কামরুজ্জামান আরও জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় নৌ পুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। এসব ঘটনায় দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযানে জব্দকৃত ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরীবদের মধ্যে বিতরণ, পাঁচ লাখ মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌ-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর সদর এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আটক পাঁচ জেলের মধ্যে তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার এবং দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং তিন কেজি ইলিশ স্থানীয় গরবীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে, হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুব রশীদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাইমচরে ১১ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী। বাকি ছয় জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়। জব্দকৃত ৪৭ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ৫০ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ।
এছাড়া মাছ ধরার একটি নৌকা উপজেলা টাস্কফোর্স হেফাজতে রয়েছে। অভিযানে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সহযোগিতা করে।
সারাবাংলা/এনইউ