ঢাকা: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ‘আর্ন্তজাতিক বিচার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, একটি দেশ আরেকটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। আমরা যদি সেই হিসাবে চিন্তা করি তাহলে কিন্তু বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সাহেবকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ উনি (পিটার) নগ্নভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। কোনোভাবেই ভালোটা মানতে রাজি নন, তিনি যেন এই দেশের মালিক, এই দেশের হর্তাকর্তা, বিধাতা!’
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ আমার, সিদ্ধান্ত আমার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত দেশের মানুষের উপর ভরসা রাখতে পারছে না, কারণ জনগণ তাদের ত্যাজ্য করেছে। এই তারা আজ চেষ্টা করেছে বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় ক্ষমতা যেতে। যে চেষ্টা পলাশীর যুদ্ধের আগেই করেছিলো মীরজাফর। তারা (বিএনপি) বিদেশিদের দ্বারা ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষমতায় বসার জন্য। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন পিটার ডি হাসসহ বেশ কয়েকজন। মনে আছে আমরা কিন্তু পাকিস্তানের উপ-রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিলাম। এটিই আইন।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে সব অপশক্তি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের পরিচয় কিন্তু আমরা জানি। মির্জা ফখরুল ইসলামের বাবা রাজাকার হিসাবে দালাল আইনে বন্দি ছিলো। আমি আন্দাজে কথা বলছি না, তার পিতা চখা মিয়া রাজাকার। তার নামই হচ্ছে, চখামিয়া রাজাকার। ওনি হাজতে ছিলেন। রিজভীর বাবা আগস্ট মাসে মুক্তিযুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন পাকিস্তান পুলিশে যোগদান করেছিলেন। সুতারং তাদের সবারই রক্তে কিন্তু রয়েছে রাজাকারের উপাদান।’
বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে আমাদের বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৭১ সালেই তারা বিরোধিতা করেছে। সব পর্যায়ে আমাদের দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা ভয় পাইনি। জুজুর ভয় দেখিয়ে উন্নয়নের ধারা তারা বন্ধ করতে পারবেন না।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিভি টুডের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডেইলি সানের প্রধান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, দৈনিক সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ অনেকে।