ট্রেন ছেড়েছে যথা সময়ে, বন্ধ দূরপাল্লার বাস
২৯ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০২
ঢাকা: সংবাদ সম্মেলন করে হরতালে বাস চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও তা করেনি বাস মালিকরা। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দূরপাল্লার অনেক রুটেই তারা বাস চালাননি। ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-বরিশালসহ উত্তরাঞ্চলের রুটগুলোতে বাস চলতে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তার অভাবেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটা বাসে আগুন দিলেই সেখানে শেষ হয় না, যাত্রীদের জীবন মরণের প্রশ্ন থাকে। এদিকে হরতালের মধ্যেও চলছে ট্রেন। শিডিউল অনুযায়ী সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন ছেড়ে গেছে।
গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ থেকে রোববার সকাল সন্ধ্যা সারাদেশে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ওই ঘোষণার পর পরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হরতালে বাস চলাচলের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক সমিতি। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন। রোববার সকাল ৮টা থেকে হরতাল কর্মসূচী চলছে। ফলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও কাজলা এলাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ঢাকা থেকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। কিছু বাসের কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
শারমিন পরিবহনের কর্মী সজীব জানান, সকালে দুই ট্রিপ ছেড়ে গেছে। এখন তো বেলা বাড়ছে, ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। সেজন্য কোনো বাস ছাড়ছি না। শ্যামলী বাস কাউন্টারের কর্মী মোতালেব জানান, একটা বাস পুড়ে গেলে শুধু মালিকের ক্ষতি হবে বিষয় সেটা না, এখানে যাত্রীদের জীবন মরণের প্রশ্ন। সেজন্য পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা। হানিফ বাস ছেড়ে যেতেও দেখা যায়নি।
তবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামান ও আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয় এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাহলে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সকালের দিকে কিছু বাস ছেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সংখ্যা কমে গেছে। গাবতলীর বাস টার্মিনাল থেকেও কম সংখ্যক বাস ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে চলছে বিআরটিসির বাস। সকাল থেকেই বাস তার শিডিউল মত ছেড়ে গেছে।
সময় মতো ছেড়ে গেছে ট্রেন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হরতালকে কেন্দ্র করে কোনো ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়নি। স্টেশন ম্যানেজার মো. সারওয়ার মাসুদ সারাবাংলাকে জানান, আমরা শিডিউল মতোই ট্রেন ছেড়ে দিয়েছি। কিছু ট্রেনে রেল পুলিশ থাকছে।
এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা চোখে পড়লেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে। অনেকক্ষণ বিরতি দিয়ে যে একটি গণপরিবহন বাস স্টপেজে থামছে তাতে অফিসমুখী ও বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষজনকে ঠাসাঠাসি করে উঠতে দেখা গেছে। গণপরিবহনের এ সংকটে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস