ঢাকা: বিএনপির ডাকা হরতালের প্রভাব রাস্তাঘাটে কিছুটা দেখা গেলেও প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে দেখা যাচ্ছে না। সচিবালয়ের কাজ চলছে স্বাভাবিক নিয়মেই। বরং অন্য দিনের চেয়ে আজ অনেক আগেই কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে গেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তারা জানিয়েছেন, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে যে জ্যামে পড়তে হয়, তা আজ হয়নি। দ্রুতই সচিবালয়ে পৌঁছানো গেছে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো কঠোর। এদিন দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও ছিলো কম।
শনিবারের মহাসমাবেশ থেকেই রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। একইসঙ্গে একই সময়ে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতালের মধ্যেও যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও, সংখ্যা ছিল খুবই কম।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা গেছে।
সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। অনেক মন্ত্রীও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং কর্মকর্তাদের কাছে হরতালের খোঁজ-খবর নেন।
এদিন সচিবালয়ের সামনে আবদুল গণি রোডে গাড়ি চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়নি। তবে সচিবালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রবেশের ৪টি গেইটের মধ্যে তিনটি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিটি গেটে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখা গেছে। সচিবালয়ে সামনের রাস্তায় ছিলো না চিরচেনা যানজট।
এদিকে হরতাল চলায় সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এজন্য এক ও দুই নম্বর গেটের মাঝামাঝি দর্শনার্থী অপেক্ষা কক্ষ দর্শনার্থী শূন্য দেখা গেছে। সচিবালয়ের লিফটগুলোর সামনেও ভিড় দেখা যায়নি। তবে সচিবালয়ে গাড়ির সংখ্যা সকালে তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার পর গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনান্য দিনের মতো এদিন সকাল থেকেই আমরা তৎপর রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে রাত থেকে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুনের ঘটনার পর আমরা এখানে আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপর রয়েছি।’
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, হরতাল হলেও রাস্তায় যান চলাচল করছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় কম দেখা গেছে। মন্ত্রণালয়ে প্রায় সবাই সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েছেন।
সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, হরতালকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সচিবালয়ে কর্মীদের আসা শুরু হয়। অনেকেই নির্ধারিত সময়ের আগেই এসে কার্যালয়ে উপস্থিত হন।