ডেসটিনির রফিকুল আমীনের মামলা এক বছরে নিষ্পত্তির নির্দেশ
২৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২২
ঢাকা: ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের নামে করা মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৯ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। রফিকুল আমীনের জামিন চেয়ে করা আবেদন নথিভুক্ত করে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে এক মামলায় ২০২২ সালের ১২ মে রফিকুল আমীনসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অর্থদণ্ড ২০০ কোটি টাকা। ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি আসামিদের পাঁচ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে অপর মামলাটি এখনও বিচারাধীন।
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি- প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে দুই হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই টাকার মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা ও সরাসরি পাচার করা হয় দুই লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রফিকুলসহ অন্যদের নামে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।
এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এক বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ