‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসছে সরকার’
৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১৯
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসছে। এর পরিবর্তে এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সূর্যের আলো থেকে শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা করছে। এ জন্য লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন থেকে বিরত থাকা হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ১২তম সাউথ এশিয়া ইকোনমিক পলিসি নেটওয়ার্ক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত দু’দিনের এ কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘গ্রিন গ্রোথ ইন সাউথ এশিয়া’। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এর আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশনা হলো- হাওর, জলাভূমিতে আর রাস্তা হবে না। সেখানে প্রয়োজনে উড়াল সড়ক এবং উঁচু এলাকায় সড়ক করলেও পর্যাপ্ত কালভার্ট রাখতে হবে।’ পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেতন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশবান্ধব। শিল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এই পরিবেশকে ভালো রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর সার্বিক সহযোগিতাও প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বিপুল অংকের এ বিনিয়োগ সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কেবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই বছরে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১০০ কোটি ডলার। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে ঘর ছাড়া হতে পারে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি এড়াতে বাংলাদেশের বছরে প্রয়োজন সাড়ে ১২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন। প্রথম দিনে প্রায় ১৮টি প্রবন্ধ উপস্থান করা হয়।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম