উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ বিনামূল্যে দেবে কমিউনিটি ক্লিনিক
৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০৯
ঢাকা: কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। সম্প্রতি নেওয়া এ সিদ্ধান্ত তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে “হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় সাংবাদিক অংশগ্রহণে কর্মশালায় কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বাজেট বৃদ্ধির ওপরে জোর দেওয়া হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, আগামী অর্থবছরে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের বলেন, ‘কেবল লবণ গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭.৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল কবির এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
সারাবাংলা/জেআর/একে