আহত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন: আইজিপি
১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৫
ঢাকা: বিএনপির সমাবেশে আহত পুলিশ ও আনসার সদস্য হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এসময় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সদস্য আহত হয়েছিলেন।
আইজিপি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৮ অক্টোবর পুলিশ সদস্যদের উপর নারকীয় আক্রমণ করা হয়। পুলিশের এক সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাকে পেটানো ও মাথায় কোপানো হয়েছিল। যারা আহত হয়েছিল এদের বেশ কিছু পুলিশ ও আনসার সদস্য হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা জানি না তাদের কি হবে। চেষ্টা করছি তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে। এদের মধ্যে এক আনসার সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, বিছানায় কাতরাচ্ছেন।’
২৮ অক্টোবর সমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের প্রতিই ইঙ্গিত করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জেনেভা থেকে পাঠানো জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে সংস্থাটির এই ইঙ্গিত করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা কীভাবে দায়িত্বপালন করছিলাম। আর কীভাবে আমাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। সমাবেশটা যাতে সুন্দর হয় সেজন্য চারদিকে আমরা দায়িত্বপালন করছিলাম। তারপর যখন আমরা আক্রান্ত হয়েছি, প্রধান বিচারপতির বাসভবন আক্রান্ত হয়েছে, জাজেজ কোয়ার্টার আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা তাদের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, আক্রমণ আরও বেড়েছে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন, যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল না, সেজন্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ওইদিন কোনো অবরোধ কর্মসূচিও ছিল না। তা। তারপরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছিল। সেজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেটুকু শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়োজন ছিলো সেটুকু করেছি।‘
কথিত জো বাইডেনের উপদেষ্টা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের ঘটনাটি উল্লেখ করে আরও ষড়যন্ত্রের কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাচাইবাছাই করছি, তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার্বিক বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা পেশাগত দায়িত্বপালন করছে, তারাই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকরা যেই ছবি, তথ্য সংগ্রহ করছে সেই ছবি তাদের বিপক্ষে যাবে দেখে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করছে। যারা এই আক্রমণ করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমও