ঢাকা: বেসরকারি বিমান সংস্থার নিকট থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছে, দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের পাওনা এক হাজার ২২২ কোটি টাকা। তবে অসম প্রতিযোগিতার কারণে টিকে থাকতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো।
বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তানভীর ইমাম, আনোয়ার হোসেন খান ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে ৪০৮ কোটি টাকা, জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে ৩৯৪ কোটি টাকা, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে ৩৮৮ কোটি টাকা, নভো এয়ারের কাছে ২৯ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে বেবিচকের। তবে ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে নভো এয়ার, ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রা এখন কার্যক্রম পরিচালনা করে। কমিটির পক্ষ থেকে পাওনা আদায়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিমান সংস্থাকে শক্তিশালী করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, অসম প্রতিযোগিতার কারণে বিমান সংস্থাগুলো টিকে থাকতে পারছে না। গত ৩০ বছরে বিপুল বিনিয়োগের পর আটটি যাত্রী ও ১২টির অধিক কার্গো এয়ারলাইন্স দেনার ভার নিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বর্তমানে টিকে থাকা সংস্থাগুলোও ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে যেন কোনো এয়ারলাইন্স আর দেউলিয়া না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশকে পর্যটন শিল্পের অপারসম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ও পর্যটনের বিশেষ এলাকাকে এক্সক্লুসিভ জোনে রূপান্তরের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে আধুনিক, যুগোপযোগী ও সমন্বিত পরিকল্পনাভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়।