Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৯ বছর আগের ঘুষের মামলায় বিজিবি সদস্যের ৫ বছরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ নভেম্বর ২০২৩ ০২:০৩

যশোর: ৯ বছর আগের দুর্নীতির এক মামলায় যশোর বিজিবির তৎকালীন সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

বুধবার (১ নভেম্বর) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেছেন। ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া ও হয়রানির অভিযোগে ওই বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

সাজাপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম যশোর ঝুমঝুপুর ২৬ বিজিবির সুবেদার মেজর ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরার কামালনগর গ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ২০১৪ সালে ঈদুল আজহার সময় বেশ কিছু চামড়া কিনে স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাত করেন। ১৪ অক্টোবর তিনি চার হাজার ৬৭৭ পিস চামড়া ট্রাকে নিয়ে নাটোরের আড়তের পথে রওনা দেন। পথে ঝিকরগাছায় কয়েকজন ট্রাক থামিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা যশোর বিজিবিকে খবর দেয়। বিজিবির সুবেদার মেজর নজরুল ইসলাম তার ফোর্সসহ চামড়া বোঝাই ট্রাকটি আটক করে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ঝুমঝুমপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেনকে চামড়ার বৈধ কাজগপত্র দেখালেও তিনি এ চামড়া ভারতে যাচ্ছে বলে অভিযোগে করে সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। রফিকুল ইসলাম সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। রফিকুল ইসলাম রাতেই এক লাখ টাকা জোগাড় করে নজরুলকে দেন, বাকি টাকা সকালে দেবেন বলে জানান। পরদিন সকালে রফিকুল বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে দেখেন, চামড়া নিলামে বিক্রি করে ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুষের টাকা নিয়েও নিলামে চামড়া বিক্রির কারণ জানতে চাইলে নজরুলসহ বাকিরা মামলার ভয় ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ও নজরুল ইসলামকে আসামি করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আদালতে মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আাদেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপসহকারী পরিচালক সৌরভ দাস ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

সারাবাংলা/টিআর

ঘুষের মামলা দুর্নীতির মামলা বিজিবি সদস্য সুবেদার মেজর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর