কাজে লাগেনি উদ্যোগ, পোশাক শ্রমিকরা আজ আরও মারমুখী
২ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৮
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরে চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজে লাগেনি আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো সমঝোতার উদ্যোগ। সুরহা হয়নি মালিক পক্ষের নূন্যতম মজুরির নির্ধারণের প্রস্তাবও।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকেই মিরপুর ১১ নম্বরে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে লাঠি হাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। গত তিনদিনের থেকে তারা আজ আরও বেশি মারমুখী। তাদের বিক্ষোভের কারণে আজও বন্ধ রয়েছে মিরপুপ ১১ মেট্রোরেল স্টেশন। রাস্তা ও মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস যাত্রী ও শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, বুধবার (১ নভেম্বর) গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডে ন্যূনতম ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব দেন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি। সেই অবস্থান থেকে সরে শ্রমিকদের মজুরি আরও বাড়াতে চান তারা। তবে কত বাড়াতে চান তা স্পষ্ট করেননি। ফলে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে বোর্ডের পঞ্চম বৈঠকেও নূন্যতম মজুরির নির্ধারণের বিষয়টি সুরাহা হয়নি।
প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) কর্মসূচি ছিল পোশাক শ্রমিকদের। রাজধানীর মিরপুরসহ সাভার ও গাজীপুরেও পোশাক শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় গাজীপুরে এক শ্রমিক নিহত হন। এর প্রতিবাদে পরদিন মঙ্গলবারও তারা রাজপথে নেমেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজও আন্দোলন করেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা যে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছে সেগুলো হলো— বেসিক মজুরি ৬৫ শতাংশ রেখে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা; মজুরি ঘোষণা হওয়ার প্রথম বছর থেকেই প্রতি বছর মোট বেতনের ১০ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো; সাতটি গ্রেডের বদলে পাঁচটি গ্রেড নির্ধারণ করা, আনুপাতিক হারে সব গ্রেডে সমান হারে মজুরি বাড়ানো এবং পিস রেট/সোয়েটার শ্রমিকদের বেসিক ৩ নম্বর গ্রেডে নির্ধারণ করা; চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে ডিসেম্বর মাস থেকে সব পোশাক কারখানায় বাস্তবায়ন করা এবং কারখানাভিত্তিক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা।
আরও পড়ুন:
গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
শ্রমিকদের মজুরি সাড়ে ১০ হাজারের বেশি দিতে চান মালিকরা
সারাবাংলা/রমু/ইআ