Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চোরাগোপ্তা হামলা করে বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির দিকে যাচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৭

ঢাকা: বিএনপির বর্তমান কর্মকাণ্ডকে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড বা সর্বহারা পার্টিগুলোর সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিএনপিকে তিনি ‘আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি’ বলেও অভিহিত করেছেন।

নানক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে মাঠে রয়েছে বলেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা রাজধানীসহ সারাদেশে কোথাও কোনো সুবিধা করতে পারছে না। তাই তারা চোরাগুপ্তা হামলা করে। আপনারা কি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি? কেন চোরাগোপ্তা হামলা করেন?

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সেচ ভবন অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিনিধি সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টিগুলো এই কাজ করত। বিএনপি এখন সর্বহারা পার্টির দায়িত্বে, তারা বএখন আন্ডারগ্রাউন্ড গণবাহিনী পার্টির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিএনপি এখন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। তাদের হারিয়ে যেতেই হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, লড়াই চলছে। আমরা ২৮ অক্টোবরের আগেই বলেছিলাম— সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। কিন্তু দেশের মানুষ সাক্ষী রয়েছে— ২৮ অক্টোবর তারা কী পৈশাচিকভাবে পুলিশ, দায়িত্বরত সাংবাদিক এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গাড়িতে আগুনও দিয়েছে।

বিএনপির নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে নানক বলেন, আসলে ‘ইল্লত (ময়লা) যায় না দইলে (ধুইলে), খাইসলত (অভ্যাস) যায় না মইলে (মরলে)’। সেদিন আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশে পাঁচ লাখ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। তারা একটা চিৎকার দিয়ে বিএনপির সমাবেশের দিকে রওনা হলে সেদিন ঢাকা শহর রণক্ষেত্র পরিণত হতো। কিন্তু নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ ছিলেন। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপি গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না উল্লেখ করে নানক বলেন, গণতন্ত্র ভেদ করে বিএনপি দেশে অগণতান্ত্রিক ভূতের একটি সরকার কায়েম করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ও আমাদের সেনাপতি শেখ হাসিনাকে কোনো আন্তর্জাতিক মোড়লের বাঁকা চোখ দেখিয়ে লাভ নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলো পরোয়া করেন না।

আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, আগামী ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জনসভায় ১০ লাখ লোকের জমায়েত করতেই হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ মহানগরের নেতারা। সভায় মহানগর উত্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর