সংকট কাটাতে আলোচনার উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান
৩ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৩৯
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট কাটাতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। পাশাপাশি তিনি বিএনপিকেও শর্ত বাদ দিয়ে আলোচনায় আসারও আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ কার্যদিবসে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আপনার পরিচয় প্রধানমন্ত্রী। তবে আপনার আরও একটি পরিচয় আছে, যে পরিচয় আর কারও হবে না। দেশে আরও প্রধানমন্ত্রী হবে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আপনিই। তাই প্রধানমন্ত্রিত্বের পরও দায়িত্ব আছে আপনার।
চুন্নু বলেন, আজ দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল এবং আরও কিছু দল আন্দোলন করছে। তাদের এক দফা— তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। সরকারেরও এক দফা— সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। জাতীয় পার্টি কিন্তু কোনো এক দফায় বিশ্বাসী না। জাতীয় পার্টি চায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
চুন্নু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলব— কে কী বলল, কে সমালোচনা করল, এগুলোর ঊর্ধ্বে গিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে এক টেবিলে আলোচনার জন্য উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানান। বিএনপিসহ মাঠে যারা আছেন তাদের বলব— আপনারা আল্লাহর ওয়াস্তে জনগণের দিকে তাকিয়ে শর্ত বাদ দিয়ে টেবিলে এসে আলোচনা করুন, সব পূর্বশর্ত বাদ দিন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে বের হতে হবে। কয়দিন আগে একজন পুলিশকে অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে। এগুলো সহ্য হয় না। এই আন্দোলনের কারণে কয়জন নিরীহ মানুষ মারা গেছেন, সেটিও গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী রোববার ও সোমবার আবার ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়েছে।
চুন্নু বলেন, এসব কর্মসূচি নিয়ে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে, শঙ্কার মধ্যে আছে। তাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলেরই বড় দায়িত্ব— মানুষের দিকে তাকিয়ে দফা টফা বাদ দিয়ে, ইগো বাদ দিয়ে এক টেবিলে বসে সংবিধানের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা পথ তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রী যেন সেই কাজে অগ্রণী ভূমিকা নেন, সেটি আমি আমার দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর